নতুন সদস্য নিবন্ধন

2025-04-29 10:28:11

২০২৫ সালের সদস্য ফর্ম ও নির্দেশনা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

event

কুষ্টিয়া জেলা সমিতি, ঢাকা ২০২৫ সালের নতুন সদস্য নিবন্ধন কার্যক্রম সফলভাবে শুরু করেছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে ওয়েবসাইটে নিবন্ধন ফর্ম উন্মুক্ত করা হয়, যেখানে ঢাকায় অবস্থানরত কুষ্টিয়াবাসী এবং আগ্রহী শুভানুধ্যায়ীরা সহজেই সদস্য হতে পারছেন।

নতুন সদস্য নিবন্ধনের এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল সমিতির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা, সদস্যদের মাঝে ঐক্য জোরদার করা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও সংগঠিতভাবে অগ্রসর হওয়া।

📄 নিবন্ধন প্রক্রিয়া:

  • অনলাইন ফর্ম পূরণ: ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট পেইজে সহজ ও ব্যবহারবান্ধব ফর্ম রাখা হয়েছে।

  • আবশ্যক তথ্য: নাম, পিতার নাম, জন্মতারিখ, যোগাযোগ ঠিকানা, পেশা এবং কুষ্টিয়ার উপজেলার তথ্য প্রদান করতে হয়।

  • ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র: সদস্য হতে আবশ্যিকভাবে প্রোফাইল ছবি ও পরিচয়পত্র আপলোড করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

  • সদস্য ফি: নির্ধারিত সদস্য ফি অনলাইনে অথবা অফিসে সরাসরি প্রদান করা যায়।

🤝 নতুন সদস্যদের জন্য বিশেষ সুবিধা:

  • সমিতির সকল সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ

  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ বিশেষ সহায়তা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তি

  • নেটওয়ার্কিং ও সম্পর্ক বৃদ্ধির সুযোগ

  • জরুরি সহায়তার ক্ষেত্রে প্রাধান্য

📣 প্রচারণা ও সাড়া:

নিবন্ধন কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ওয়েবসাইট এবং ইভেন্টগুলির মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হয়েছে। খুব অল্প সময়েই প্রচুর সদস্য নতুন করে নিবন্ধন করেন এবং অনেক পুরাতন সদস্য তথ্য হালনাগাদ করার সুযোগ নেন।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, "সকল কুষ্টিয়াবাসীকে এক প্ল্যাটফর্মের আওতায় নিয়ে আসাই আমাদের মূল লক্ষ্য। নতুন সদস্যরা আমাদের সংগঠনের প্রাণশক্তি।"

🔗 নিবন্ধনের শেষ তারিখ:

নতুন সদস্য নিবন্ধনের জন্য ৩১ মে ২০২৫ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আগ্রহীদের অনুরোধ করা হয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে।

রক্তদান কর্মসূচি

2025-04-29 09:52:42

সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মানবিক উদ্যোগ হিসেবে রক্তদান কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।

event

কুষ্টিয়া জেলা সমিতি, ঢাকা সদ্য আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচি ২০২৫ ছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী মানবিক উদ্যোগ, যা সংগঠনের দায়িত্বশীলতা এবং সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের বাস্তব প্রতিফলন।

রক্তদানের মতো মহৎ কাজের জন্য ৫ই মার্চ ২০২৫, শান্তিনগরের কুষ্টিয়া ভবনে আয়োজন করা হয় এই কর্মসূচির। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে ঢাকায় অবস্থানরত কুষ্টিয়াবাসী সদস্যরা সহস্রভাবে অংশগ্রহণ করেন।

💡 কর্মসূচির লক্ষ্য:

এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল:

  • হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রক্তের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করা

  • সাধারণ মানুষের মাঝে রক্তদানের সচেতনতা বৃদ্ধি

  • সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানো

🩺 আয়োজনের বিবরণ:

  • সহযোগী প্রতিষ্ঠান: কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করতে অংশীদার ছিল একটি স্বনামধন্য ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠান।

  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা: প্রতিটি রক্তদাতার রক্তচাপ, হিমোগ্লোবিন ও শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে নেওয়া হয়।

  • সার্টিফিকেট ও আপ্যায়ন: রক্তদাতাদের জন্য ছিল প্রশংসাপত্র, রিফ্রেশমেন্ট ও স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ।

  • স্বেচ্ছাসেবক দল: কুষ্টিয়া জেলা সমিতির তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা গোটা আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

অনুষ্ঠানে সমিতির সভাপতি বলেন, “রক্তদানের মাধ্যমে জীবন বাঁচানো সম্ভব—এটি শুধু সেবা নয়, এক ধরনের সামাজিক দায়িত্ব।”

রক্তদানের পর অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে মন্তব্য করেন, এই ধরনের উদ্যোগ সদস্যদের মধ্যে একতা ও সহমর্মিতার বন্ধন আরও দৃঢ় করে।

ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৫

2025-04-29 09:47:35

ঢাকায় অবস্থানরত কুষ্টিয়াবাসীদের অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন ঈদ পুনর্মিলনী সম্পন্ন হয়েছে।

event

২০২৫ সালের ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে কুষ্টিয়া জেলা সমিতি, ঢাকার উদ্যোগে আয়োজিত হয় এক প্রাণবন্ত ও স্নিগ্ধ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। ঢাকায় বসবাসরত কুষ্টিয়াবাসী সদস্য, শুভানুধ্যায়ী, পরিবার-পরিজনদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠে এক আবেগঘন মিলনমেলা।

অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ১০ই এপ্রিল, শান্তিনগরস্থ কুষ্টিয়া ভবনের মিলনায়তনে। দুপুরের পর থেকেই সদস্যরা পরিবারসহ অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন এবং পুরনো বন্ধু, পরিচিতজনদের সঙ্গে পুনর্মিলন উপভোগ করেন।

🎉 আয়োজনের বিশেষ দিকগুলো ছিল:

  • ঈদ শুভেচ্ছা বক্তব্য: সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শুভেচ্ছা জানিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

  • সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: সংগীত, আবৃত্তি ও কুষ্টিয়ার লোকসংস্কৃতির উপস্থাপনা অংশগ্রহণকারীদের মন মাতিয়ে তোলে।

  • শিশু-কিশোরদের প্রতিযোগিতা: অঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি, কুইজসহ ছিল নানা আয়োজন।

  • ভোজ ও আপ্যায়ন: ঐতিহ্যবাহী কুষ্টিয়ার খাবার পরিবেশিত হয় অতিথিদের মাঝে।

এই অনুষ্ঠান কেবল একটি সামাজিক উৎসব ছিল না, বরং এটি ছিল কুষ্টিয়ার মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস। উপস্থিত অনেকেই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, “ঢাকায় থেকেও আমরা যেন আজ কুষ্টিয়াকেই অনুভব করলাম।”